RED JULY

আমরা তোমাদের ভুলব না!

মোহাম্মদ আলম

পিতার নাম: মোহাম্মদ আব্দুস সোবহান
মাতার নাম: ছবুরা বেগম
পেশা: চাকুরীজীবী

জন্ম গ্রহণ করেন: Feb. 19, 1977
আহত হন: Aug. 5, 2024
ঘটনা সংঘটনের স্থান: পুলিশ ফাঁড়ির সামনে,ঈদগাহ,মনসুরাবাদ,চট্টগ্রাম
আহত হওয়ার ধরন: Shot death
যার আঘাতে শাহাদাত বরণ করেন (খুনী): পুলিশ
শাহাদাত বরণ করেন: Aug. 5, 2024
শাহাদাতের সময় বয়স ছিল: 47 বছর।

সংক্ষিপ্ত জীবনী: মোহাম্মদ আলম ১৯৭৭ সালের ২০ ই ফেব্রুয়ারী জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ৪র্থ শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশোনা করেন। তিনি ২০০৫ সালে প্রথম বিবাহ করেন। তিনি প্রথম একটি টেক্সটাইল বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরী করেন। তারপর তিনি চট্টগ্রামের আতুরার ডিপো এলাকায় বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরী করেন।তারপর তিনি পুনরায় আরেকটি বেসরকারি টেক্সটাইল কোম্পানিতে চাকরি করেন। মৃত্যুর পূর্বে তিনি পাহাড়তলী মাল্টিপেপার এন্ড পলিপ্যাক প্রতিষ্ঠানে চাকরী করেন। তখন তাঁর মাসিক আয় ২০-২৫,০০০ টাকা ছিল। তিনিই পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী হওয়ায় তাঁর মৃত্যুর পর তাঁর পরিবারের আয় শূন্যে এসে ঠেকে। তিনি ২০১৬ সালে ২য় বিবাহ করেছিলেন।তাঁর প্রথম পরিবারের ২ সন্তান আছে। তাঁর ছেলে ১০ম শ্রেণিতে পড়ে এবং মেয়ে ৫ম শ্রেণীতে পড়ে। তিনি ৫ আগস্ট আসরের নামাজ পড়ে বিজয় মিছিলে বের হন এবং তিনি মনসুরাবাদ পুলিশ স্টেশনের সামনে গেলে পুলিশ গুলি করে। তখন একটি বুলেট সরাসরি তাঁর মাথায় লাগে এবং তাঁকে হাসপাতালে নেয়ার পথেই তিনি মৃত্যু বরণ করেন। তাঁকে মা ও শিশু হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানেই তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়। তিনি চট্টগ্রাম 'গরীবুল্লাহ শাহ্ এর মাজার' এলাকায় শায়িত আছেন।তিনি পরিবারের দুইজন স্ত্রী এবং এক ছেলে ও এক মেয়েকে রেখে যান। যাদের বর্তমান আর্থিক অবস্থা খুবই শোচনীয়।
থাকতেন: হাজী কালা মিঞা কন্ট্রাক্টরের বাড়ী,ঈদগাহ,বউবাজার,পাহাড়তলী,চট্টগ্রাম
স্থায়ী ঠিকানা: বার্মা কলোনী,আমিন জুট মিল,পাঁচলাইশ,চট্টগ্রাম

ছবি ঘর

"চলে যাব-তবু আজ যতক্ষণ দেহে আছে প্রাণ।
প্রাণপণে পৃথিবীর সরাব জঞ্জাল,
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।"