আমরা তোমাদের ভুলব না!
মোহাম্মদ জামাল
পিতার নাম: মৃত ছালেহ আহম্মেদ
মাতার নাম: রোকেয়া বেগম
পেশা: শ্রমিক
জন্ম গ্রহণ করেন: Dec. 15, 1970
আহত হন: Aug. 5, 2024
ঘটনা সংঘটনের স্থান: হাটহাজারী মডেল থানার সামনে
আহত হওয়ার ধরন: Cardio respiratory failure
যার আঘাতে শাহাদাত বরণ করেন (খুনী): পুলিশ
শাহাদাত বরণ করেন: Aug. 5, 2024
শাহাদাতের সময় বয়স ছিল: 53 বছর।
সংক্ষিপ্ত জীবনী: মোহাম্মদ জামাল ১৯৭০ সালের ১৫ই ডিসেম্বর চট্টগ্রাম জেলার বায়েজিদ বোস্তামী এলাকায় জন্ম গ্রহণ করেন। দারিদ্র্যের কারণে তিনি প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা লাভের সুযোগ পাননি। তিনি জীবনের দীর্ঘ একটা সময় শ্রমিক ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি রিক্সা চালানোকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করেন। তিনি বিবাহিত ছিলেন এবং তাঁর স্ত্রী ও দুই সন্তান রয়েছে। ছেলেটা দশ কি বারো বছর বয়সী,আর মেয়ের বয়স আঠারো ছু্ঁইছুঁই। মেয়েটি মানসিকভাবে অসুস্থ। পরিবারের এই চরম সংকটাপন্ন দশায় ভরনপোষণের দায়িত্ব ভার সামলাচ্ছিলেন জামাল একাই। ৫ই আগস্ট তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে একটি কাজে বের হন। কাজ শেষে স্ত্রীকে বাড়িতে পাঠিয়ে তিনি বিজয় মিছিলে যোগ দেন। বিকাল পর্যন্ত সবই ঠিকঠাক ছিল। কিন্তু সন্ধ্যার সময় হঠাৎ কিছু মিছিলে অংশগ্রহণকারী হাটহাজারী মডেল থানায় ক্ষোভের প্রকাশ হিসেবে ঢিল ছুড়তে থাকে। তখন বিপরীত দিক থেকে পুলিশ নির্দয়ভাবে গুলি চালায় এবং একটা বুলেট এসে নিষ্ঠুরভাবে জামালের বুক চিঁড়ে ঢকে যায়। তখনও তাঁর এক স্ত্রী আর দুই সন্তানের দায়িত্ব ছিল তাঁর ওপর। এখন তিনি দায়িত্ব থেকে মুক্ত। শায়িত আছেন কোনো এক মাটির ঘরে। আল্লাহ তাঁকে ক্ষমা করুন,জান্নাতুল ফিরদৌস নসিব করুন এবং তাঁর পরিবারকে ধৈর্য ধারণের তৌফিক দিন।
থাকতেন: কড়িয়ার দিঘির পাড়,হাটহাজারী,চট্টগ্রাম।
স্থায়ী ঠিকানা: ছালেহ আহমেদ এর বাড়ি,কুলগাঁও,বায়েজিদ বোস্তামী,চট্টগ্রাম।
ছবি ঘর
"চলে যাব-তবু আজ যতক্ষণ দেহে আছে প্রাণ।
প্রাণপণে পৃথিবীর সরাব জঞ্জাল,
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।"