সায়েম মাহমুদ
পিতার নাম: মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম
মাতার নাম: দিলুয়ারা বেগম
পেশা: শিক্ষার্থী
জন্ম গ্রহণ করেন: June 15, 2001
আহত হন: Aug. 4, 2024
ঘটনা সংঘটনের স্থান: বহদ্দারহাট,চট্টগ্রাম।
হাতিয়ার: দেশীয় অস্ত্র, অন্যান্য
আক্রমণকারী (সন্ত্রাসী): ছাত্রলীগ
শরীরে আঘাত পেয়েছেন: মাথা
আহত হওয়ার সময় বয়স ছিল: 23 বছর।
ঘটনার সংক্ষিপ্ত বর্ণনা: ৪ঠা আগস্ট সকাল ১১ টার দিকে ছাত্রদের সাথে শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান করেন। এরপর পুলিশ,ছাত্রলীগ,আওয়ামী লীগ অতর্কিত হামলা করলে ছাত্ররা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। এরপর সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে ওয়াসাতে এসে অবস্থান নেন। এরপর মিছিল নিয়ে মুরাদপুরের দিকে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে ষোলশহরের কাছাকাছি আসামাত্র ফ্লাইওভার থেকে আবার ছাত্রলীগ পাথর নিক্ষেপ করে। ফলে ছাত্ররা পুনরায় ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়ে। এসময়ও তিনি সাংবাদিকের দায়িত্ব পালন করছিলেন 'চট্টগ্রাম ট্রিবিউন' নামক সংবাদ মাধ্যমের সম্পাদক হিসেবে। বহদ্দারহাট পৌঁছার পর ছাত্ররা বিছিন্ন হয়ে পড়লে তাঁকে একা পেয়ে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা মারধর করে এবং ক্যামেরা,আইফোনসহ তাঁর সাংবাদিকতার সরঞ্জামাদি নিয়ে নেয়। তাঁকে পথচারীরা রক্তাক্ত অবস্থায় চমেক হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ন্যাশনাল হাসপাতালে নেয়া হয়।
সংক্ষিপ্ত জীবনী: সায়েম মাহমুদ ২০০১ সালের ১৫ই জুন চট্টগ্রাম জেলার পটিয়াতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি পটিয়া আব্দুস সোবহান রাহাত আলী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০১৭ সালে এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন এবং স্যার আশুতোষ সরকারি কলেজ থেকে ২০২০ সালে এইচএসসি পরীক্ষার উত্তীর্ণ হন। তিনি বর্তমানে চট্টগ্রাম প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি CSE ডিপার্টমেন্টে ৬ষ্ঠ সেমিস্টারে অধ্যয়নরত আছেন। তাঁর পরিবারে মা-বাবা, দুই ভাই এবং একটি বোন আছে। তিনি পরিবারের সাথেই থাকেন। পরিবারে সর্বকনিষ্ঠ তিনি। ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনার পাশাপাশি তিনি চট্টগ্রাম ট্রিবিউনের একজন সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন। পুরো আন্দোলন জুড়ে তিনি নিষ্ঠার সাথে তাঁর দায়িত্ব পালন করেছেন। আন্দোলনে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা তাঁর যাবতীয় মিডিয়া সরঞ্জাম কেড়ে নেয়। যার ফলে তিনি আর্থিকভাবে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হন। তিনি বর্তমানে শারীরিকভাবে সুস্থ আছেন। তবে,তাঁর সাংবাদিকতায় ফেরার জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের তীব্র সংকট বোধ করছেন।
থাকতেন: কল্পলোক আবাসিক,বাকলিয়া,চট্টগ্রাম।
স্থায়ী ঠিকানা: আব্দুল খালেক মাস্টার বাড়ী,হাইদগাঁও,পটিয়া চট্টগ্রাম।
ছবি ঘর
"চলে যাব-তবু আজ যতক্ষণ দেহে আছে প্রাণ।
প্রাণপণে পৃথিবীর সরাব জঞ্জাল,
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।"