মোহাম্মদ দিলদার
পিতার নাম: মো: তৈয়ব
মাতার নাম: রোকেয়া বেগম
পেশা: শ্রমিক
জন্ম গ্রহণ করেন: Sept. 20, 1999
আহত হন: Aug. 5, 2024
ঘটনা সংঘটনের স্থান: কাচারী রোডে সামনে,হাটহাজারী,চট্টগ্রাম।
হাতিয়ার: বুলেট
আক্রমণকারী (সন্ত্রাসী): পুলিশ
শরীরে বিদ্ধ বুলেট সংখ্যা: 1
শরীরে আঘাত পেয়েছেন: পা
আহত হওয়ার সময় বয়স ছিল: 24 বছর।
ঘটনার সংক্ষিপ্ত বর্ণনা: মোহাম্মদ দিলদার ৫ই আগস্ট তারিখে আসরের নামাজের আগে একজনের বাসায় কাজ করার জন্য জিনিস কিনতে বাজারে যাচ্ছিলেন। সেখানে আনন্দ মিছিল দেখতে পেয়ে তিনিও যোগ দেন। মিছিলে থাকা অবস্থায় কাচারী রোড থেকে নাজিরহাট সড়কে উঠার সময় ডান পায়ে গুলিবিদ্ধ হন। সাথে সাথেই তিনি মাটিতে পড়ে যান। পথচারীরা তাঁকে আলিফ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে চমেক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় এবং সেখানে তাঁর পা থেকে বুলেট বের করে নেয়া হয়। উপযুক্ত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় নেয়া হয় এবং আবার ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে ফেরত পাঠানো হয়। যার ফলে সিদ্ধান্ত নিতে দেরী হয়ে যায় এবং তাঁর পায়ের গোশত পচে যায়। যার ফলশ্রুতিতে তাঁর পা কেটে ফেলা হয়।
সংক্ষিপ্ত জীবনী: মোহাম্মদ দিলদার ১৯৯৯ সালের ২০শে সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলায় জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি ৫ম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেন। পরে জীবিকার তাগিদে শ্রমজীবনকে বেছে নেন। তিনি একজন ইলেক্ট্রিক মিস্ত্রী। তাঁর বাবা ছিলেন রাজমিস্ত্রী,যিনি একটি কাজ করার সময় দুর্ঘটনাবশত তার একটি পা ভেঙে যায়। তাই পরিবারের পুরো দায়িত্ব তাঁর কাঁধে এসে পড়ে। তিনি প্রায় ১৫-২০,০০০ টাকা ইনকাম করতেন। এখন তাঁর একটি পা নেই। তিনি বলেন,"আমি যে বসে বসে খাবার খাই,সেগুলো হজম হতে চায় না। এত বড় হয়েও বাবার কাঁধে চেপে বসা আমার মোটেও ভালো লাগছে না। আমি ড্রাইভিং পারি। ড্রাইভিং করে হলেও ইনকাম করতে চাই। সরকারিভাবে একটু সহযোগিতা পেলে অনেক উপকার হতো।" তিনি চিকিৎসা করতে গিয়ে অনেক বেশী ঋণ করেন। এখনো তাঁর অনেক চিকিৎসা বাকী।
থাকতেন: মৌলভী পাড়া,দেওয়ান নগর,হাটহাজারী,চট্টগ্রাম।
স্থায়ী ঠিকানা: মৌলভী পাড়া,দেওয়ান নগর,হাটহাজারী,চট্টগ্রাম।
ছবি ঘর
"চলে যাব-তবু আজ যতক্ষণ দেহে আছে প্রাণ।
প্রাণপণে পৃথিবীর সরাব জঞ্জাল,
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।"