RED JULY

মো: আল-আমিন

পিতার নাম: মো: আনোয়ারুল ইসলাম
মাতার নাম: মনোয়ারা বেগম
পেশা: বেকার

জন্ম গ্রহণ করেন: May 10, 1988
আহত হন: Aug. 3, 2024
ঘটনা সংঘটনের স্থান: মাতুয়াইল এবং সাইনবোর্ড এর মাঝামাঝি
হাতিয়ার: রড ও বাঁশ
আক্রমণকারী (সন্ত্রাসী): আওয়ামী লীগ
শরীরে আঘাত পেয়েছেন: বাম হাতের কাঁধের অংশ ও ডান হাতের কব্জির উপরে দুটি হাড্ডি ভেঙ্গে যায় এবং শরীরের বিভিন্ন অংশ কেঁটেছিলে যায়।
আহত হওয়ার সময় বয়স ছিল: 36 বছর।

ঘটনার সংক্ষিপ্ত বর্ণনা: আন্দোলনরত অবস্থায় হঠাৎ ১৫ থেকে ২০ জনের একটি দল হামলা চালায়। এতে আমি পড়ে যাই তারা আমাকে এলো পাথারি রড ও বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে আহত করে। আশেপাশের লোক এগিয়ে আসলে তারা পালিয়ে যায়। লোকজন আমাকে ধরে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যায় এবং আমি আমার পরিবারকে জানালে আমার বড় ভাই এসে আমাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
সংক্ষিপ্ত জীবনী: আমি মোহাম্মদ আল আমিন পিতা, মাতা ও স্ত্রীকে নিয়ে একটি ভাড়া বাড়িতে থাকি। আমার তিন ভাই। তারা তাদের পরিবারকে নিয়ে আলাদা থাকে। আমার একটা ছোট ব্যবসা ছিল করোনার কারণে ব্যবসায় মন্দা দেখা দেয় যার ফলস্বরূপ ২০২২ সালে এসে পথের ফকির হয়ে যাই। পরে মোটরসাইকেল রাইড শেয়ার শুরু করি। যা টাকা পাই তা দিয়ে কোন রকমে চলে যায় কিন্তু ৩-৮-২০২৪ ইং এরপর হতে বিছানায় পড়ে আছি। ভাইদের হতে ঋণ করে এবং স্ত্রীর গয়না বিক্রি করেই সংসার চলতেছে। পড়াশুনা এইচএসসি পাস টাকার অভাবে পড়ালেখা চালাতে পারি নাই। আমি ক্লাস নাইন থেকে চাকরি করে আমার পরিবারকে সাহায্য করে আসছি। এক কথায় বর্তমানে আমি এবং আমার পরিবার অনেক কষ্টে আছি।
থাকতেন: গোধনাইল, শান্তিনগর, সিদ্ধিরগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ।
স্থায়ী ঠিকানা: গোধনাইল, শান্তিনগর, সিদ্ধিরগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ।

ছবি ঘর

"চলে যাব-তবু আজ যতক্ষণ দেহে আছে প্রাণ।
প্রাণপণে পৃথিবীর সরাব জঞ্জাল,
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।"