RED JULY

রাজেশ চন্দ্র দাশ রাজু

পিতার নাম: কৃষ্ণ চন্দ্র দাশ
মাতার নাম: রেবা রানী দাশ
পেশা: চাকুরীজীবী

জন্ম গ্রহণ করেন: Dec. 2, 1982
আহত হন: Aug. 4, 2024
ঘটনা সংঘটনের স্থান: নিউমার্কেট চত্বর
হাতিয়ার: দেশীয় অস্ত্র
আক্রমণকারী (সন্ত্রাসী): ছাত্রলীগ/যুবলীগ
শরীরে আঘাত পেয়েছেন: মাথায়,দুই হাতে,বাম পায়ের হাঁটুর উপরে ও নিচে
আহত হওয়ার সময় বয়স ছিল: 41 বছর।

ঘটনার সংক্ষিপ্ত বর্ণনা: গুরুতরভাবে আহত রাজেশ চন্দ্র দাশের বক্তব্য, ৪-০৮-২০২৪ তারিখে চট্টগ্রামের নিউমার্কেট এলাকায় উপস্থিত আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষের উপর নির্বিচারে দা,কিরিচ,রড দিয়ে আঘাত করতে থাকে ছাত্রলীগ-যুবলীগ নামের একদল নরপিশাচরা, ছত্রভঙ্গ করতে চেষ্টা করে আন্দোলনরত সাধারণ নিরস্ত্র মানুষকে,রক্তাক্ত করে কুপিয়ে, মারাত্মক আহত হয় সেদিন আমি সহ আরো অনেকে। আহতদের চিকিৎসার জন্য ছাত্রদের আপ্রাণ চেষ্টা চলে, শতশত মানুষ আহত হলেও মুহূর্তের মধ্যে হাজারো মানুষ জড়ো হয়ে আন্দোলনে যুক্ত হয়।জনতার বিজয় সুনিশ্চিত করতে সবাই বদ্ধপরিকর ছিল।
সংক্ষিপ্ত জীবনী: আহত রাজেশ বলেন, আমি রাজেশ চন্দ্র দাশ রাজু, জুলাই-আগষ্ট ২০২৪ মাস যাবতকালের বাংলাদেশের জনগণের প্রতি সমস্ত অত্যাচার,নিপিড়ন,বাকস্বাধীনতা হারানো, পরাধীনতার হাত থেকে মুক্তির লক্ষে জাতি, ধর্ম,বর্ণ র্নিবিশেষে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে ছাত্র জনতার যে আন্দোলন শুরু হয়ে তা বিজয়ের হাসি দেখে তা ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে মুক্ত বাতাস গ্রহণ করতে সহায়তা করবেন আশাকরি।আন্দোলনে শহীদদের স্মরণ করি,তাদের পরিবারের সবার প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করি।আহতদের সকালে যেন খুব সহসায় সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসেন মহান সৃষ্টিকর্তার নিকট প্রার্থনা করি। যাদের আত্নত্যাগের বিনিময়ে এই বিজয় অর্জন তা যেন ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি না করে। শহীদের মর্যাদা দান ও আহতদের প্রতি সন্মান প্রদানের মাধ্যমে সুন্দর দৃষ্টান্ত স্হাপন করা হবে আশাবাদী। আহতদের চিকিৎসার সুনজরে না নিতে পারলে অনেকে পঙ্গু ও জীবন হারাতে পারে। বর্বর হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানানো ছাড়া এমুহূর্তে আর কিছু করার উপায় নেই। আজ আমি বেঁচে আছি যাদের সহযোগিতার জন্যে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বীকার করি, এখন আমি কঠিন দিন পার করছি, কর্মহীন হয়ে পড়ে আছি, আমার পরিবারে আমি ছিলাম একমাত্র উপার্জনকারী, পরিবারের সবাই এখন নির্বাক চোখে তাকিয়ে আছে আমার দিকে। আমি আমার চিকিৎসার খরচ মেটাবো না-কি পরিবারের সকলের খাবার যোগাড় করবো। বাস্তবতা কতটা কঠিন তা কেমন করে বুঝাবো।সৃষ্টিকর্তা আমার এই কঠিন সময় পাড় করে দিবেন এই প্রার্থনা করি।
থাকতেন: ৪৬ নং কাতালগঞ্জ,পাঁচলাইশ,ডাক-চকবাজার
স্থায়ী ঠিকানা: ৪৬ নং কাতালগঞ্জ,পাঁচলাইশ,ডাক-চকবাজার

ছবি ঘর

"চলে যাব-তবু আজ যতক্ষণ দেহে আছে প্রাণ।
প্রাণপণে পৃথিবীর সরাব জঞ্জাল,
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।"