আজবি হায়াত
পিতার নাম: আক্তার ফারুক
মাতার নাম: শাহিন আক্তার
পেশা: ছাত্র
জন্ম গ্রহণ করেন: July 28, 2006
আহত হন: July 18, 2024
ঘটনা সংঘটনের স্থান: বহদ্দারহাট,চট্টগ্রাম
হাতিয়ার: বুলেট
আক্রমণকারী (সন্ত্রাসী): বিজিবি
শরীরে বিদ্ধ বুলেট সংখ্যা: 2
শরীরে আঘাত পেয়েছেন: হাটুর উপরে
আহত হওয়ার সময় বয়স ছিল: 17 বছর।
ঘটনার সংক্ষিপ্ত বর্ণনা: ১৮ তারিখ তিনি তাঁর বন্ধুদের সাথে বহদ্দারহাট অবস্থান করেন। মাঝখানে তাঁরা বিচ্ছিন্ন হয়ে যান। তিনি হোটেল জামানের দিকে চলে যান এবং তাঁর বন্ধুরা মুরাদপুরের দিকে চলে যান। তাঁদের সাথে পুলিশ-বিজিবির ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলে। যখন বিকেল ৫ টা বাজে,তাঁরা বিজিবিকে পিছু হটাতে শুরু করেন। পিছু হটানোর এক পর্যায়ে চাঁদগাঁও থানার সামনে এসে ওরা(বিজিবি,পুলিশ)অনেক ফাঁকা বুলেট ফায়ার করে।তিনি এবং সিনিয়ররা সামনে আগালে ওরা রিয়েল বুলেট ফায়ার করে। তাঁর তখন মনে হয়েছিলো,কেউ অনেক বড় পাথর মেরেছে তাঁর পায়ে। পরে রাস্তায় রক্ত দেখে কিছুটা আঁচ করতে পেরেছিলেন তিনি। তখন ১৫ সেকেন্ড জীবনের সবথেকে ডিফিকাল্ট পার্ট ছিল।কারণ,তখন গুলি খাওয়া অবস্থায় দৌড়াতে থাকেন।তখন যোকোনো সময় তাঁর গায়ে গুলি লাগতে পারতো।এখন আল্লাহর রহমতে তিনি সুস্থ আছেন।
সংক্ষিপ্ত জীবনী: আজবি হায়াত বর্তমানে একজন বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার্থী। তিনি এইচএসসি ২৪ ব্যাচের শিক্ষার্থী। এইচএসসি দিয়েছেন ইসলামিয়া ডিগ্রি কলেজ থেকে। তিনি কাজেম আলী হাই স্কুলের ছাত্র ছিলেন। তাঁর খেলাধুলা করতে খুব ভালো লাগে, বিশেষ করে ফুটবল। তার কো-কারিকুলার অ্যাকটিভিটিস খুবই পছন্দ,বিশেষ করে বিতর্ক প্রতিযোগিতা। ২০২৩ সালে তিনি বিটিভিতে সম্প্রচারিত বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। তিনি বড় ভাই বোনদের উপর নির্মমভাবে চালানো নির্যাতনের স্ট্রিমরুলার সহ্য করতে না পেরে এইচএসসি পরিক্ষা চলমান অবস্থায়ও আন্দোলনে ঝাপিয়ে পড়েন। পরে ১৮ই জুলাই গুলিবিদ্ধ হন। এরপর তিনি অনেকদিন চিকিৎসারত অবস্থায় থাকেন। তিনি স্বাধীন দেশ দেখে নিজের ত্যাগকে স্বার্থক মনে করছেন। আর স্বাধীনতা রক্ষায় সকলকে সোচ্চার থাকার আহ্বান জানান।
থাকতেন: খাজা রোড,বহদ্দারহাট,চাঁদগাঁও,চট্টগ্রাম
স্থায়ী ঠিকানা: মির্জারহাট,ভুজপুর,ফটিকছড়ি,চট্টগ্রাম
ছবি ঘর
"চলে যাব-তবু আজ যতক্ষণ দেহে আছে প্রাণ।
প্রাণপণে পৃথিবীর সরাব জঞ্জাল,
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।"