হাসনাত আল সৌরভ
পিতার নাম: মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন
মাতার নাম: হামিদা বেগম তামান্না
পেশা: ছাত্র
জন্ম গ্রহণ করেন: May 24, 2009
আহত হন: Aug. 4, 2024
ঘটনা সংঘটনের স্থান: ষোলশহর,চট্টগ্রাম
হাতিয়ার: বুলেট, পাথর
আক্রমণকারী (সন্ত্রাসী): আওয়ামী লীগ
শরীরে বিদ্ধ বুলেট সংখ্যা: -1
শরীরে আঘাত পেয়েছেন: কপাল আর হাত
আহত হওয়ার সময় বয়স ছিল: 15 বছর।
ঘটনার সংক্ষিপ্ত বর্ণনা: ৪ই আগস্ট সকালে নিউমার্কেট চত্বরে আন্দোলনরত ছাত্রদের ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হলে ছাত্রজনতা বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নেয়। হাসনাত ও ওয়াসা মোড়ে এসে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে নিরাপদ স্থানে অবস্থান নেয়। এরপর বিকালের দিকে বহদ্দারহাটের দিকে যাওয়ার সময় ষোলশহরের কাছে গেলে ফ্লাইওভারের উপর থেকে ছাত্রদেরকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়ে। যার একটি গুলি হাসনাতের হাতে এসে লাগে। আওয়ামী সন্ত্রাসীরা পাথর ও নিক্ষেপ করে, যার একটি পাথর হাসনাতের ঠিক কপালের মাঝে এসে লাগে। পরে তার সাথে থাকা বন্ধুরা তাকে নিরাপদে সরিয়ে নেয়। সে কোনো হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়নি। সে এখন পরিপূর্ণ সুস্থ।
সংক্ষিপ্ত জীবনী: আহত বীরযোদ্ধার নাম হাসনাত আল সৌরভ। তিনি দোভাষীপাড়া, বারদোনা, সাতকানিয়া চট্টগ্রামের একজন স্থায়ী বাসিন্দা। তিনি বর্তমানে ফিরোজশাহ, পাহাড়তলী, চট্টগ্রামে পরিবারের সাথে একটি ভাড়া বাসায় থাকেন। তিনি পরিবারের প্রথম সন্তান। তার পরিবারে মা বাবা আর এক ভাই থাকেন। তিনি মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। তার বাবা একজন ব্যবসায়ী। বাবার আয়েই পরিবার চলে। তিনি ওমর গণী এম ই এস কলেজে ১ম বর্ষে পড়াশোনা করেন। তিনি ৪ই আগস্টে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে আন্দোলনে যোগ দিলে স্বৈরাচারের পালিত গুন্ডা বাহিনী তার উপর ঝাপিয়ে পড়ে। আল্লাহর রহমতে সেদিন তিনি বেচে ফিরেন। সকলের কাছে দোয়া চেয়েছেন, যেন ভালোভাবে পড়াশোনা করে মানুষের মতো মানুষ হয়ে দেশ পুনর্গঠনে ভুমিকা রাখতে পারেন। তার মতো এমন অনেক বীররা সারাদেশের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে আছে মুবাইলে গেমস খেলার সময়ে দেশ রক্ষায় জীবন দেওয়ার মতো সাহসী সিদ্ধান্তের উপর অটল থাকার প্রত্যয়ে। আমরা তো এমন প্রজন্মই চেয়েছিলাম।
থাকতেন: ফিরোজশাহ, পাহাড়তলী, চট্টগ্রাম
স্থায়ী ঠিকানা: দোভাষীপাড়া, বারদোনা, সাতকানিয়া চট্টগ্রাম
"চলে যাব-তবু আজ যতক্ষণ দেহে আছে প্রাণ।
প্রাণপণে পৃথিবীর সরাব জঞ্জাল,
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।"